সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

image “CENOPUS” “The Second Largest Bright Star In The Carinea Nebula”
Canopus or Alpha Carinae (Alp Car) is the brightest naked eye star in the constellation Carina. With an apparent magnitude of -0.62, Canopus is the 2nd brightest star in the entire sky (see: 50 Brightest Stars ). Its absolute magnitude is -5.53 and its distance is 313 light years. The Equinox J2000 equatorial coordinates are RA = 06h 23m 57.1s, Dec = -52° 41' 45". Canopus has a spectral type of F0Ib, a surface temperature of 7350° Kelvin and a luminosity 13,600 times the Sun. It has a mass of 8.5 solar masses and a diameter 65 times the Sun. The image above shows the uncropped view of Canopus (North is up) through the Takahashi E-180 Astrograph. Canopus is a supergiant of spectral type F and appears essentially white to the naked eye. With a luminosity of 13,600 Suns, the most intrinsically bright star within approximately 700 light years of the Solar System. From a hypothetical distance of 1 Astonomical Unit (Earth's distance from the Sun), Canopus would have an apparent magnitude of -37 (the Sun is -27.5). Canopus appears less bright than Sirius in our sky only because Sirius is much closer to Earth (8.6 light years). The diameter of Canopus has been measured at 0.6 astronomical units or 65 times that of the Sun. If it were placed at the center of the Solar System, it would extend three-quarters of the way to Mercury. An Earth-like planet would have to lie three times the distance of Pluto for its star to appear the same size in the sky as our own Sun. Canopus is a strong source of X-rays, which are probably produced by its corona, magnetically heated to around 15 million degrees Kelvin. It is a member of the Scorpius-Centaurus Association, a group of stars which share similar origins. The description above is based on the Canopus entry in Wikipedia. For more information about Canopus.
Technical Details ঃ Object: Canopus Other Names: Alpha Carinae, HR2326, HD45348, HIP30438 Object Type: bright star Object Data: Apparent Magnitude = -0.62, Absolute Magnitude = -5.53, distance = 313 light years Object Position (Equinox J2000): RA = 06h 23m 57.1s, Dec = -52° 41' 45", Constellation = Carina Date/Time: 2011 Nov 02 at 10:12:50 UTC Location: Bifrost Astronomical Observatory, Portal, AZ Mount: Astro-Physics 1200GTO Telescope: Takahashi Epsilon 180 Hyperbolic Astrograph ঃ Camera: Canon EOS 550D (Rebel T2i) (modified with a Baader UV/IR filter) Field of View: 1.70° x 2.56° at 1.7 arc- sec/pixel (web version: 10.0 arc-sec/pixel) Exposure: 2 x 240s, f/2.8, ISO 800 File Name: Canopus-01w.jpg Processing (Adobe Camera Raw): Graduated Filter, Vignetting Correction, Noise Reduction, White Balance, Curves Processing (Photoshop CS5): Average Images, Curves, Noise Reduction Original Image Size: 3454 × 5179 pixels (17.9 MP); 11.5" x 17.3" @ 300 dpi REFERANCE ঃ তথ্য সূত্র ঃ [Astropixels.com Cenopus Second Giant brightest Star] [ক্যানোপাস Space.Com Translate Google]

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মহাবিশ্বের অন্যতম মহালোচিত বিষয় সুপারনোভা ঃ বহুদিন পরে আবার ফিরলাম । পরীক্ষা নিরীক্ষার ফাঁদে পরে আপনাদের কাছ থেকে অনেক দিন দূরে থাকতে হয়েছে । আশা করি সবাই ভাল আছেন । আজ আমি আপনাদের পাঠানো একটা রিকুষ্টের পোষ্ট করছি আশা করি ভাল লাগবে । image “সুপারনোভা” যার বাংলা অর্থ হল অতিনবতারা। অতিনবতারা হলো এক ধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ যার ফলশ্রুতিতে নক্ষত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং অবশেষরূপে থাকে নিউট্রন তারা কিংবা ব্ল্যাকহোল (কৃষ্ণবিবর) এর মত অনেক অমিমাংশিত রহস্য। নক্ষত্রের অভ্যন্তরে বহির্মুখী চাপ যথেষ্ট পরিমাণ কমে যাওয়ায় এটি আর মহাকর্ষীয় আকর্ষণকে আটকে রাখতে পারে না, ফলে নক্ষত্রের মধ্যে এক প্রচণ্ড অন্তস্ফোটন (Implosion) ঘটে। নক্ষত্রটির মোট ভর এর কেন্দ্রে সংকুচিত হয় আর গ্যাসীয় প্লাজমা অবস্থায় থাকা বস্তু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রবলবেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে । এই ঘটনাই অতিনবতারা বিস্ফোরণ হিসেবে পরিচিত।কোটি কোটি ওয়াটের বৈদ্যুতিক আলো সমস্ত আকাশগঙ্গাকে কিছু সময়ের জন্য আলোকিত করে ফেলে ।অল্প সময়ে একটি সুপারনোভা এত বেশি শক্তি নির্গত করতে পারে যে তা আমাদের সূর্য তার সারাজীবনে ধরে রাখা শক্তির অনেক বড় । image সুপারনোভার ইতিহাস ঃ ১৮৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম একজন চাইনিজ জোতর্বিজ্ঞানী সুপারনোভা পর্যবেক্ষ ন করেন। আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল সুপারনোভা ছিল SN1006 । সবচেয়ে বেশি পর্যবক্ষনকৃত সুপারনোভার নাম SN1054 । আমাদের গ্যালাক্সিতে সবশেষ সংঘটিত দুটি সুপারনোভা SN 1572 ও SN 1604 যা খালি চোখেই দেখা গিয়েছিল। যা ইউরোপের জোতির্বিজ্ঞানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল কারন তারা একে এরিস্টটলের মত চাঁদ মনে করত। image কতটা শক্তিশালী সুপারনোভাঃ ৪৪৩.৭ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে প্রায় ১০০ আলোক বর্ষের কিছু কম দূরত্বে একটি সুপারনোভার বিস্ফোরন হয়েছিল। image যার ফলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে প্রচন্ড গামা রশ্মির কারনে নাইট্রোজেন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নাইট্রোজেন অক্সাইডে রুপান্তরিত হয়ে যায় এবং ওজন স্তর ক্ষয়ে গিয়ে পৃথিবী সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং অন্যান্য মহাজাগতিক রশ্মির জন্য উন্মূক্ত হয়ে পড়ে। যা পৃথিবীতে বয়ে এনেছিল অর্ডোভিসিয়ান অভিশাপ। যার কারনে পৃথিবীর সমুদ্র থেকে প্রায় ১০০ সামুদ্রিক প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তিসহ প্রায় ৬০% সাম্রদ্রিক প্রানীর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায় এবং পৃথিবীর ইতিহাসে কর্ডোভিসিয়ান বিলুপ্তি নামে খ্যাত। image জানার বিষয় ঃ 1. সুপারনোভা বিস্ফোরনের সময় এর অ্ভ্যন্তরস্ত তারার সমস্ত পদার্থকে সেকেন্ড প্রায় ৩০০০০ কি.মি বেগে বাহিরের দিকে ছুড়ে মারে। আসে পাশে অবস্থিত সকল আন্ত-নাক্ষত্রিক মাধ্যমগুলোতে প্রচন্ড শক ওয়েব বয়ে নিয়ে যায়। এ শক ওয়েব কয়েক আলোক বর্ষ দূর পর্যন্ত সুপারনোভা বিস্ফোরনের ধূলাবালি ও ধোয়া বয়ে নেয়। 2.যখন নক্ষত্রের অভ্যন্তরের নিউক্লিয়ার ফিউশান চলার মত আর কোন জ্বালানি থাকে না তখন এটি প্রচন্ড বেগে নিজের মহাকর্ষের টানে চুপষে যেতে থাকে ফলে প্রচন্ড বিস্ফোরেনের মাধ্যমে এর বাহিরের পদার্থগুলোকে বের করে দেয়। 3.এখন প্রায় প্রতিবছরই প্রচুর বিভিন্ন ধরণের সুপারনোভা আবিষ্কৃত হয়। ২০০৫ সালে ৩৬৭টি, ২০০৬সালে ৫৫১টি, ২০০৭ সালে ৫৭২টি সুপারনোভা আবিষ্কৃত হয়েছিল । image প্রকরণের সংক্ষিপ্ত বিবরণী ঃ আমাদের মিল্কি-ওয়ের মত সাইজের গ্যালাক্সিতে প্রতি ৫০ বছরে একটি করে সুপারনোভা সংঘটিত হতে পারে। প্রকারভেদ ঃ সুপারনোভাকে এদের বর্ণালীতে আলোর শোষনের উপর ভিত্তি করে দুইভাবে ভাগ করা হয়। যদি কোন সুপানোভার বর্ণালীতে আলোর শোষণ হাইড্রোজেনের কারনে হয় তাহলে এটি Type II সুপারণোভা অণ্যক্ষ্রত্রে সুপারনোভাগুলো Typ I ধরনের।Type I এবং Type II এর মাঝেও আরো প্রকারভেদ রয়েছে। মন্তব্য ঃ সুপারনোভা একটি অতিপ্রকৃতিক দিগন্ত ঘটনা । বিশ্বাস্য কিংবা অবিশ্বাস্য যাই হোক না কেন আমরা থেমে থাকবনা এ রহস্যের তরে । সামনে অসাধারণ কিছু ঘটতে যাচ্ছে ।যার ফলে আমরা আরও অনেক কিছু বুঝতে পারব । বিজ্ঞানকে প্রকৃতি অতি প্রাকৃতিক কিছু দান করছে এবং করবে যা হতে পারে বহু দূরে একটা সুগমণ পথ । ধন্যবাদ অনুরোধ দাতাদেরকে এবং আমাদের সাবস্ক্রাইবার নিয়মিত পাঠকদেরকে ।
¤"ব্ল্যাক হোল{Black Hole}¤ মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ আলোচিত ও অসীম রহস্যে ভরপুর বিষয় আজ ঃ শুক্র বার তারিখ ঃ 07.12.2012 সময় ঃ 11ঃ35ঃ10pm image বন্ধুরা এখন আমি আপনাদের পাঠানো রিকুয়েষ্টের এবং সর্বোচ্চ আলোচিত বিষয় নিয়ে লেখছি ।আমার সংগ্রহের সকল তথ্যকে সাজিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি ।অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে । সর্বদা ক্ষমা করবেন ।একটু ভালভাবে লক্ষ্য করে রচনাটি ধর্য সহকারে পড়বেন । কয়েকটা অজানা রহস্যমূলক চরিত্রের উপস্থাপন হয়েছে । উপস্থাপিত কয়েকটি চরিত্র ঃ 1.ব্ল্যাক হোল{Black hole} 2.হোয়াইট হোল{White hole} 3.চন্দ্রশেখর সীমা{Chandra shakher limit} etc. আকাশে অফুরন্ত তারার সমারোহ । অসীম মহাশূন্যে আমরা অনেক সময় অনেক কিছু দেখি ।আর যেগুলো আমরা সহজেই দেখতে পাইনা তারমধ্যে ব্ল্যাক হোল একটি । অতি ভর বিশিষ্ট্য কম আয়তনের বস্তুগুলোকে আমরা ব্ল্যাক হোল নামে চিনি ।ঘুর্ণনাকার এ কৃষ্ণ বস্তুগুলোর নিকটে কোন গ্রহ ধুমকেতু এমন কি বড় বড় নক্ষত্র গেলেও এ বিশালার বা ছোটারের বস্তু খেয়ে ফেলে ।তাই একে মহাবিশ্বের রাক্ষসও বলা হয়।অনেক ভরের বস্তুকে যদি চাঁপ দিয়ে ছোট্ট একটা বস্তুতে পরিণত করা যায় তবে এর শক্তি একটি ব্ল্যাক হোলের সমান হবে । উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের ব্যাস প্রায় দেড় মিলিয়ন কিলোমিটার। এই বিশালাকার আয়তনকে যদি কোনোভাবে মাত্র দশ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা যায়, তাহলে সেটি একটি ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। অন্যদিকে, পৃথিবীকেই যদি চেপেচুপে মাত্র দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার বানানো যায়, তাহলে পৃথিবীও একটি ক্ষুদে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে। ব্ল্যাক হোলে যে সব জিনিস প্রবেশ করে- বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন- সেগুলো পাক খেতে খেতে প্রবেশ করার সময় ব্ল্যাক হোলের বিপুল অভিকর্ষ ক্ষেত্রের প্রভাবে প্রচণ্ড গতিশক্তি অর্জন করে। এই শক্তির আবার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিকিরণে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু হয়তো তাপ উৎপন্ন হয় না। ফলে ব্ল্যাক হোলের মাঝখানে একটি শীতল পরিবেশ বিরাজ করতে পারে। সাধারণত বস্তুর মধ্যে যতোটুকু শক্তি থাকে, তার পুরোটাই নির্গত হয় এবং আমাদের কল্পসীমার বা ধারণারও বাইরে -এমন শক্তি নির্গত হয়। আমরা যখন চুলায় কাঠ, কাগজ, কয়লা কিংবা পাতা দিয়ে রান্না করি, তখন সেগুলোর এক অংশ আলো ও তা উৎপন্ন করে এবং বাকি অংশ অব্যবহৃত রয়ে যায়। যে কারণে একই কয়লা দিয়ে কয়েকবার রান্না করা সম্ভব। এই বিরাট অংশ অব্যবহৃত হয়ে যাওয়ার কারণেই এসবের উপজাত হিসেবে চুলা থেকে ছাই বা কয়লা পাওয়া যায়। যদি বস্তুর পুরো অংশটিই শক্তিতে রূপান্তরিত হতো, তাহলে সেগুলো পুড়ানোর পর আর কিছই অবশিষ্ট থাকতো না। ব্ল্যাক হোল যেমন সবকিছুকেই ভেতরের দিকে টেনে নিচ্ছে, স্বাভাবিক গাণিতিক নিয়মানুসারে এমন কিছু থাকার কথা যেগুলো সবকিছুকেই বাইরের দিকে উগরে দিচ্ছে। এই চিন্তাভাবনা থেকেই বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাশূন্যে ব্ল্যাক হোলের বিপরীতধর্মী হোয়াইট হোল এর অস্তিত্ব বিরাজমান। তারা মনে করেন, ব্ল্যাক হোলে পজিটিভ গ্র্যাভিটির চাপে যতোটুকু সংকুচিত হয়ে বস্তু ভেতরে প্রবেশ করছে, ঠিক ততোটুকু নেগেটিভ গ্র্যাভিটির চাপে অন্য একটি দ্বার দিয়ে সেগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে, যাকে হোয়াইট হোল বলা যেতে পারে। এই সূত্রানুসারে অনেক বিজ্ঞানী রহস্যময় কোয়াসারগুলোকে হোয়াইট হোল বলে মনে করেন। গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সের বদৌলতে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও হোয়াইট হোল নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তা কমছেই না। মহাশূন্যে বিশাল জায়গা নিয়ে শত শত গ্যালাক্সির ঔজ্জ্বল্য নিয়ে যে সব বস্তু ঘুরছে, সেগুলোকে কোয়াসার বা হোয়াইট হোল নাম দিলেও তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্ল্যাক হোলের চারপাশে গ্র্যাভিটন দিয়ে তৈরি গ্র্যাভিটি যেমন আলোকে নিজের দিকে টেনে নেয়, তেমনি কোনো প্রমাণ হোয়াইট হোলের সপক্ষে বিজ্ঞানীরা এখনও পান নি। ফলে বস্তু, আলো, রেডিও তরঙ্গ বা চুম্বকীয় তরঙ্গ যেমন বিলীন হয়ে যায়, তেমনিভাবে সেটা যে ফিরে আসে সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার মতো এখনো কোনো দৃঢ় প্রমাণ পান নি বিজ্ঞানীরা। একটু আগেই বলা হয়েছে, ব্ল্যাক হোলের ভেতরের পরিবেশ হবে শীতল। কিন্তু সেখানেও বড়সড় বিভ্রান্তি আছে ক্ল্যাসিক্যাল ফিজিক্স এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কারণে। ব্ল্যাক হোল যদি সূর্য কিংবা এরকম বড় সাইজের নক্ষত্রের থেকে উৎপত্তি হয় তাহলে তার অবস্থা হবে ভয়াবহতম শীতল। অন্যদিকে যদি সাইজ হয় প্রোটনের মতো, তাহলে তার তাপমাত্রা এতোটাই বেশি হবে যে, সেই তাপমাত্রা কথা চিন্তা করাও দূরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের সবচাইতে কাছের ব্ল্যাক হোল সিগনাস এক্স-১কে বলা হয় মহাশূন্যের শীতলতম জায়গা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ব্ল্যাক হোল টিকে থাকে কয়দিন? স্টিফেন হকিং মনে করেন, ছোট ছোট ব্ল্যাক হোলগুলোর আয়ু কম, যেখানে বড়গুলো আমাদের সময়ের হিসেবে প্রায় অনন্তকাল টিকে থাকবে। তবে যদি এমন হয়, নক্ষত্রগুলো আস্তে আস্তে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়ে গায়ে গায়ে লেগে যাচ্ছে, তাহলে একসময় পুরো মহাশূন্যই ব্ল্যাক হোলময় হয়ে যাবে। এবং এখানেই মহাশূন্যের ইতিহাসের সমাপ্তি। যারা হোয়াইট হোল তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তারা কিন্তু মনে করেন এখানেই মহাশূন্যের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটবে না। কারণ বস্তুগুলো হোয়াইট হোলের মাধ্যেম বিচ্ছুরিত হয়ে অপরপ্রান্তে (যদিও মহাশূন্যের অপরপ্রান্ত বলে কিছু আছে কি-না, সেটি আরেক বিতর্কের ব্যাপার) গঠিত হবে নতুন নতুন নক্ষত্র। আবার সৃষ্টি হবে নতুন মহাশূন্য, নতুন পৃথিবী, নতুন প্রাণ। অন্যতম বিবরণ ঃ কোন নক্ষত্রের ভর যদি চন্দ্রশেখর ভরের (= 1.43 * (1.989 * 10^30) কেজি) ৮ গুনেরও বেশি হয় তাহলে সেই নক্ষত্রের শেষ পরিণতি হবে "ব্ল্যাক হোল"। এই ব্ল্যাক হোলের Gravitational Force এতই প্রবল যে আলো পর্যন্ত ব্ল্যাক হোলের Event Horizon থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। যদিও ১৯৭০ সালে স্টিফেন হকিং কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মাধ্যমে @[0:1:"Hawking Radiation" নামক থিওরী দেন যাতে বলা হয় যে ব্ল্যাক হোল থেকেও কিছু তড়িত-চুম্বকীয় রেডিয়েশন হওয়া সম্ভব। ইভেন্ট হোরাইজন হচ্ছে ব্ল্যাক হোলের বাইরের পৃষ্ঠদেশ। @@[1:[0:1:আইনস্টাইন] তার Relativity বইতে (১৯১৫/১৬)ব্ল্যাক হোলকে বলেছেন, "খুবই ক্ষুদ্র স্থানে বিশালাকার ভরের সমাবেশ" যেহেতু আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না তাহলে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ত কিভাবে দেখা যায় বা বুঝা যায়? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময়েই মহাকাশে প্রচুর তারকারাশি দেখা যায় যারা একটি বিশেষ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে অথবা সর্পিলাকার গ্যাসীয় বস্তু দেখা যায় যা কোন বিন্দুকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে। এই বিশেষ বিন্দুগুলোই হল ব্ল্যাক হোল যেগুলোকে দেখা যাচ্ছে না ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে তারকারাশি বা গ্যাসীয় বস্তুগুলোর অবস্থান আর তাদের গতি-প্রকৃতির মাধ্যমে। ব্ল্যাক হোলগুলোর বৈশিষ্ট্য ঃ ব্ল্যাক হোলগুলোর মধ্যে খুব বেশি হলে ৩ ধরনের বৈশিষ্ঠ্য (Physical Properties) পরিলক্ষিত হয় ১। ভর (Mass), ২। চার্জ (চুম্বকীয়/তড়িত) ৩। কৌণিক ভরবেগ (Angular Momentum) ব্ল্যাক হোলগুলোর প্রকারভেদ ঃ ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে প্রকারভেদ ঃ ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে ব্ল্যাক হোলগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায় । ১। SchwarzsChild ব্ল্যাক হোল - Non- Spinning। শোয়ার্জচাইল্ড আইনস্টাইনের সময়কার একজন জার্মান মহাকাশবিদ। ২। Kerr ব্ল্যাক হোল-Kerr ব্ল্যাক হোলগুলোর আহ্নিক গতি সেকেন্ডে ১হাজারেরও বেশি হতে পারে। ভরের দিক থেকে প্রকারভেদ ঃ আবার ভরের দিক দিয়ে ব্ল্যাক হোলগুলো ৪ প্রকারের ১। SuperMassive ব্ল্যাক হোল ঃ এদের ভর আমাদের সূর্যের ভরের ১০০,০০০গুন থেকে কয়েক বিলিয়ন গুন বেশি ২। InterMediate-Mass ব্ল্যাক হোলঃ এদের ভর আমাদের সূর্যের ভরের ১,০০০গুন বেশি ৩। Stellar-Mass ব্ল্যাক হোলঃ এদের ভর আমাদের সূর্যের ভরের ১.৫গুন থেকে ১৫গুন বেশি ৪। Micro ব্ল্যাক হোলঃ এরা Planck Massএর সমান। Planck Mass= 2.176*10^-8 কেজি। আমাদের সূর্যের থেকে ১০গুন বেশি ভরের ব্ল্যাক হোলগুলোর (১০*(1.989 * 10^30) কেজি) ব্যাসার্ধ খুব বেশি হলে বিশ মাইল হবে। সুতরাং এদের আয়তন মাত্র ৩৩,৫০০ ঘনমাইল। মন্তব্য ঃ ব্ল্যাক হোল আমাদের ভবিষ্যতের অনেক দ্বার খুলে দিয়ছে ।বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন ব্ল্যাক হোলের মাধ্যমে কল্পকাহিনীর টাইম ট্রাভেল{Time Trevel} নামের অনেক অবাস্তব কিছু তৈরী করতে সক্ষম হবে । এটাও বলেন যে ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের ক্ষতি শুধু করছে তা নয় ।এ সৃষ্টি রহস্যটা ব্ল্যাক হোলের কারণেই সম্ভব হয়েছে ।তাই ব্ল্যাক হোলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ । রহস্য এখানেই শেষ না । শূণ্য মাত্রার জগৎ এ প্রবেশ করতে হবে ।সময়হীন ব্ল্যাক হোলের মত আমরাও অতিমাত্রার জগৎ পরিভ্রমণ করতে হবে । তা নাহলে প্রযুক্তিতে তালমিলাতে পৃথিবী ব্য হবে । বিঃদ্রঃ White hole টা আমি বিশ্বাস করি না । আপনি বিশ্বাস করেন কি?? ধন্যবাদ সবাইকে {সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত}
সৌর জগৎ Wikipedia ঃ শব্দাবলী ও সংজ্ঞা image সৌর জগতের গ্রহ ও বামন গ্রহসমূহ। আকার স্কেল অনুসারে আছে, তবে সূর্য থেকে দূরত্বের কোন স্কেল নেই । সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণরত বস্তুগুলোকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: গ্রহ, বামন গ্রহ এবং ক্ষুদ্র সৌর জাগতিক বস্তু। গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান এমন একটি বস্তু , ক) যার নিজেকে গোলকীয় আকারে পরিণত করার মত যথেষ্ট পরিমাণ ভর রয়েছে এবং খ) যা তার নিকটতম প্রতিবেশে অবস্থিত সব ক্ষুদ্র বস্তুকে অপসারণ করেছে। এখন পর্যন্ত জানা তথ্যমতে মোট আটটি গ্রহ রয়েছে, এদের নাম পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ২৪শে আগস্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন গ্রহের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করেছে। এর পূর্বে প্লুটোসহ সৌরজগতে নয়টি গ্রহ ধরা হত। এই নতুন সংজ্ঞার আওতায় প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দেখুন: গ্রহের নতুন সংজ্ঞা।image একটি বামন গ্রহকে তার নিকটতম প্রতিবেশে অবস্থিত অন্য কোনও জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুকে অপসারণ করতে হয় না। গ্রহের সাথে এটিই কেবল তার পার্থক্য। বর্তমানে তিনটি বামন গ্রহ পাওয়া গেছে যাদের নাম পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। আরও যে বস্তুগুলো বামন গ্রহের মর্যাদা পেতে পারে তারা হল: ৯০৩৭৭ সেডনা, ৯০৪৮২ অরকাস এবং ৫০০০০ কুয়াওয়ার। ১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লুটো সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত হত। কিন্তু অধুনা সৌরজগতে প্লুটোর মতো অনেক বস্তু আবিষ্কৃত হচ্ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এরিস (বামন গ্রহ)|এরিস যা প্লুটোর চেয়ে আকারে সামান্য বড়। image সৌরজগতে অবশিষ্ট যে বস্তুগুলো রয়েছে তা হল: ক্ষুদ্র সৌর জাগতিক বস্তু বা এসএসএসবি (small solar system bodies)। প্রাকৃতিক উপগ্রহ বা চাঁদ হল সে সকল বস্তু যারা সূর্যের পরিবর্তে গ্রহ, বামন গ্রহ বা বিভিন্ন ক্ষুদ্র বস্তুকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায়। সূর্য থেকে একটি গ্রহের দূরত্বে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়। সূর্য থেকে কোন গ্রহের ন্যুনতম দূরত্বকে বলা হয় অনুসূর (perihelion) এবং বৃহত্তম দূরত্বকে বলা হয় অপসূর। সৌর জগতে অভ্যন্তরে বিভিন্ন দূরত্ব পরিমাপ করার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সাধারণত জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক (astronomical unit - AU) ব্যবহার করেন। এক ''জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক'' হচ্ছে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যার মান প্রায় ১৪৯,৫৯৮,০০০ কিমি (৯৩,০০০,০০০ মাইল)। প্লুটো সূর্য থেকে প্রায় ৩৮ এইউ দূরত্বে অবস্থিত আর সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব প্রায় ৫.২ এইউ। এক আলোক বর্ষ (জ্যোতির্বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত একক) সমান প্রায় ৬৩,২৪০ এইউ। মাঝেমাঝে সৌর জগতকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীন অংশে বিভক্ত করা হয়। ''অন্তঃ সৌরজগতের'' মধ্যে রয়েছে চারটি পার্থিব গ্রহ এবং প্রধান গ্রহাণু বেষ্টনী। কেউ কেউ ''বহিঃ সৌরজগৎ'' শব্দটিও ব্যবহার করেন। এর মধ্যে থাকে গ্রহাণুর বাইরে অবস্থিত সবকিছু।অন্যরা এটিকে নেপচুনের বাইরে অবস্থিত একটি অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে। আর চারটি গ্যাসীয় দানব নিয়ে ''মধ্য অঞ্চল'' নামে একটি আলাদা অঞ্চলের কল্পনা করা হয়।